রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের সাথে সীমান্ত উত্তেজনায় অনেকেই এই দুই দেশের সামরিক শক্তি সম্পর্কে কৌতূহল প্রদর্শন করছেন। মায়ানমার বাংলাদেশের প্রায় দুই যুগ পূর্বে স্বাধীন হয়েছে তাই কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক তবে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী অনেক বেশী পেশাদার, সাহসী, সুশৃঙ্খল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আসুন দেখে নেই দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনা।
গ্রাউন্ড ফোর্সে মায়ানমারের সৈন্য সংখ্যা ৪০৬০০০ (চার লক্ষ ছয় হাজার) আর বাংলাদেশের সৈন্য সংখ্যা ৪০০০০০ (চার লক্ষ)।
ফিট ফর মিলিটারি সার্ভিস
মায়ানমারঃ ২১০০০০০০( দুই কোটি দশ লাখ) এবং বাংলাদেশ:-৬৬০০০০০০ (ছয় কোটি ষাট লাখ)
ট্যাংক ফ্লিট
মায়ানমার ৬৮০ এবং বাংলাদেশ ৫৬৯
টয়েড আর্টিলারি
মায়ানমার ৮৮০ এবং বাংলাদেশ ৫৫০
মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার
মায়ানমার ১০৪ এবং বাংলাদেশ ৩২
নৌ বাহিনী
মায়ানমার ১৫৫ বাংলাদেশ ৯৩ ( ফ্রিগেট আছে ৬ টা, যার মধ্যে ৪টা মিসাইল ফ্রিগেট। আর ২টা পেট্রোল ফ্রিগেট। ওগুলোতে কোনো মিসাইল নেই। আর করভেট আছে ৪টা। আরো ২টি নির্মানাধীন)
এয়ার ডিফেন্স
মায়ানমার বাক এম ১ ( লং রেন্জ ) , প্যানটাসির এস ১ (শর্ট রেন্জ) এবং বাংলাদেশ এফ এম ৯০ (শর্ট রেন্জ ) , কোন লং রেন্জ এয়ার ডিফেন্স নেই । মায়ানমার ও বাংলাদেশে প্রায় একই রকম বিমান নিজেদের এয়ার ফোর্সে ব্যবহার করে যেমন মিগ ২৯, ইয়াক ১৩০, কে ৮ । তবে মিয়ানমারের বিমান সংখ্যা সামান্য বেশী। উদাহরন স্বরুপ বাংলাদেশের মিগ ২৯ আছে ৮ টি , মায়ানমারের আছে ৩২ টি যদিও ১২ টি বর্তমানে সচল । অন্য দিকে বাংলাদেশের এফ ৭ সিরিজের বিমান এবং দক্ষ পাইলট যে কোন আক্রমন ঠেকাতে সক্ষম । উপমহাদেশে বিমান চালনার দক্ষতায় বাংলাদেশের পাইলটদের ধারে কাছেও কেউ নেই ।
অন্য দিকে মায়ানমারের সেনাবাহিনী মোটেও পেশাদার নয়। তারা ইয়াবা এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত, নৈতিকতাহীন, গণবিচ্ছিন্ন এবং উপমহাদেশের অন্যতম শৃঙ্খলাহীন সেনা বাহিনী। অন্যদিকে বাংলাদেশে সেনা বাহিনী জন্ম লগ্ন থেকেই শৃঙ্খলার এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে । মায়ানমার বনাম বাংলাদেশের নাফ যুদ্ধে প্রমান হয়েছে যে অধিক সেনা এবং যুদ্ধাস্ত্র থাকা সত্ত্বেও মায়ানমার আমাদের সেনাদের হাতে এমনকি তৎকালিন বিডিআরের হাতে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছে। মায়ানমারের যুদ্ধের সময় তারা বাংলাদেশ সীমান্তে পূর্ন শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না কারন অপর সীমান্তের থাইল্যান্ড তাদের বন্ধুরাষ্ট্র নয়।
এছাড়াও কাচিন ও আরাকান আর্মিসহ আরো ৪/৫ টা অস্ত্রধারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আছে যারা মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে সাবমেরিন এবং সাব মেরিন কিলার হেলিকপ্টার যুক্ত হয়েছে। মায়ানমারের কোন সাবমেরিন নেই, যদিও শোনা যাচ্ছে তারা ৪ টি সাবমেরিনের অর্ডার করেছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ ফোর্স এবং ফিট ফর মিলিটারি সার্ভিসও সংখ্যাও অনেক বেশী। বাংলাদেশে সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভেীমত্ত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
লিখেছেনঃ হুমায়ের জিদান
© বিডি থিংকার্স ২০২০
সম্পাদক ও প্রকাশক : উজ্বল মন্ডল
১৩৪২/২ পূর্ব শেওড়াপাড়া (৫ম তলা) | রানওয়ে রোড, কাফরুল, ঢাকা – ১২০৮ ।
ইমেইল: bdthinkers@gmail.com (এডিটোরিয়াল)
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা